স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে বিএনপি এখনও পরাধীনতায় বিশ্বাসী, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে; দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। শনিবার (২৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন আত্মদহনে দগ্ধ। ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা। পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি। যাদের জন্ম এবং বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এটাই সত্যি। কিন্তু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাদের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করে! তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস ওড়াচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে উদীয়মান শক্তি। দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনও মেনে নিতে পারে না। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ। তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে সরকার আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। বরং শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল। অথচ, তারা কৃতঘ্নতার পরিচয় দিচ্ছে। বিএনপির শাসনামলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ। বিদেশে পাচার করা জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে,’ বলেন তিনি।