ভালো ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা, বালিশ আর শান্ত পরিবেশ। বিশেষ করে বালিশ ঠিকঠাক না হলে অনেকেই শান্তিতে ঠিক মতো ঘুমোতে পারেন না। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বাঁকিয়ে মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোয়া যায়। তুলা, ফোম বা ফাইবার দিয়ে বালিশেই সাধারণত আমরা ঘুমাই। তবে এসব বালিশে মাথা একেবারে ডুবে যায়, এগুলোর ব্যবহারে মেরুদণ্ডের অবস্থান ঠিক থাকে না। এগুলো তেমন স্বাস্থ্যকরও নয়। সুস্থ থাকতে ব্যবহার করতে পারেন কাউনের চালের বালিশ। সব সময় কাউনের খাবারের কথা জেনে এসেছেন, এখন বালিশের কথায় অবাক হচ্ছেন? আমরা জানি কাউনের চাল ফাইবার বা আঁশ জাতীয় শস্য। যা আমাদের হজমের সমস্যা দূর করে এবং দেহে দীর্ঘসময় ধরে শক্তির প্রবাহ দিয়ে থাকে। কাউনের চালে আয়রন থাকে যা আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব দূর করতে সাহায্য করে। দেহের সুগঠন, ক্ষয়পূরণ এবং পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন জাতীয় পদার্থ থাকার কারণে স্বাভাবিক চালের চেয়ে প্রায় ১৮ থেকে ২০ গুন শক্তি দিয়ে থাকে কাউনের চাল। ফলে দেহকে রাখে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। কিন্তু এই কাউনের চালের বালিশের উপকারিতাও অনেক। এটি ব্যবহার করলে- • ছোট ছোট দানার ফলে মাথার ম্যাসাজ হয় ও রক্ত চলাচল ভালো থাকে • মাথা ব্যথা, অবসাদ দূর করে • ঘাড় ও মেরুদণ্ডের অবস্থান ঠিক রাখে • বাতাস চলাচল করে ও ভালো ঘুম হয়। বালিশ বানাতে এক কেজির মতো কাউন ব্যবহার করুন। বালিশে সুতি কাপড়ের আরামদায়ক কভার দিন। আর মাঝেমধ্যেই রোদে দিয়ে ব্যবহার করুন স্বাস্থ্যকর কাউনের বালিশ।