সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক এসএম মোর্তজা আলম লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাইভেট পড়ানোর শেষপর্যায়ে সহপাঠীরা চলে গেলে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন ওই শিক্ষক।
আটক শিক্ষক এসএম মোর্তজা আলম লিটন সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা কর্মকারপাড়া গ্রামের মৃত মুনসুর আলী সানার ছেলে। তিনি তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।
ভুক্তভোগী বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকাল ৫টায় শিক্ষকের বাসায় ১২-১৩ জন সহপাঠী প্রাইভেট পড়তে যাই। প্রাইভেট পড়ানোর শেষপর্যায়ে শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে আমার খাতা দেখতে দেখতে এক ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রম করেন। এ সময় আমার সহপাঠীরা চলে যায়। একপর্যায়ে শিক্ষক কক্ষের সোফা থেকে উঠে আমাকে জোরপূর্বক জাপটে ধরে আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমি তাকে বাধা দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তিনি আমার মুখ চেপে ধরেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে আমি নিজের চেষ্টায় শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত নিজের বাসায় চলে আসি। বাড়িতে এসে আমি কান্নাকাটি করতে করতে বিষয়টি আমার মাকে জানাই। পরবর্তীতে বিষয়টি লিখিতভাবে সাতক্ষীরা সদর থানায় জানানো হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্তজা আলম লিটনকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় যৌন নিপীড়নের মামলা হয়েছে। আজ বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।