ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। আর কাঁচামরিচে বেড়েছে ২৫ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আদার। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৮০ টাকা দাম বেড়েছে।
আদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০-১০০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০-১০০ টাকা।
‘সামনে কোরবানির ঈদ। ওই সময় আদার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে হঠাৎ করেই আদার দাম ১৮০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে হিলিতে আদা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
‘ঈদ আসতে এখনো অনেক দেরি। অথচ এখন থেকেই আদার দাম যেভাবে বাড়ছে তা সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। দাম বাড়ার একটা সীমা আছে!’
‘কাঁচামালের দাম সকালে বাড়ে, বিকেলে কমে। আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি দামে বিক্রি করি। আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করি। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়।’
পঞ্চগড়, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচামরিচের আবাদ বাড়লেও তীব্র দাবদাহের কারণে সরবরাহ কমে যাচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে শুরু করবে।
‘গত রোববার কাঁচামরিচ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি। আজ ১২০ টাকা কেজি কিনলাম। দাম বেড়েই চলছে। অথচ আমাদের ইনকামতো বাড়ে না। কদিন আগে দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা আয় হলেও এখন ২০০ টাকা আয় করাই কঠিন। এ টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।’
‘বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। সামনে ঈদের বাজার। এতে মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়েছে পেঁয়াজের। এজন্য দামও বেড়েছে।’