আত্মীয়তা রক্ষায় কোরআনের নির্দেশনা : পবিত্র কোরআনে মা-বাবার পরে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার করো মা-বাবার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম, মিসকিন, নিকটাত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদের, যারা দাম্ভিক, অহংকারী।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৬)
আত্মীয়তা ছিন্নকারী অভিশপ্ত : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা খুবই কঠোর।
আত্মীয়তা ছিন্নকারী উভয় জগতে শাস্তিযোগ্য : আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা একটি ইবাদত। যারা এ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে না তাদের অন্যান্য আমল-ইবাদত যথার্থ হলেও তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। অভ্যস্ত মদ্যপায়ী, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী ও জাদুতে বিশ্বাসী।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৯৫৮৭)
আত্মীয়তায় জীবন ও জীবিকা সমৃদ্ধ হয় : সমৃদ্ধ জীবন ও জীবিকা সবারই প্রত্যাশিত। এ জীবন ও জীবিকার পেছনে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি, যার কারণে আত্মীয়দের খোঁজখবর রাখা হয় না। আত্মীয়তা রক্ষা করতে গেলে অর্থ ব্যয় হবে এই ভেবে আমরা অনেকেই দূরে দূরে থাকি। আবার সংসারজীবনের নানা চাপে আমরা আত্মীয়দের ভুলে যাই। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিক (জীবিকা) প্রশস্ত হওয়ার এবং দীর্ঘ জীবনের প্রত্যাশা করে সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)