সৌদি আরবের একটি স্কুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন যশোরের শার্শা উপজেলার রুবেল হোসেন (২২)। গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
বুধবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছে রুবেলের লাশবাহী কফিন। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেটি গ্রহণ করেন পরিবারের সদস্যরা। বিকালে শার্শা পৌঁছে কফিন খুলে তারা দেখতে পান এটি রুবেলের লাশ নয়।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলে লাশের পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি দ্রুত দাফন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ লাশ ফুলে বিকৃত হতে শুরু করেছিল। ফলে সংক্ষিপ্ত জানাজার মাধ্যমে সন্ধ্যায় বাগআচড়া সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয় লাশটি।
রুবেলের বাবা ফারুক হোসেন বলেন, “সৌদি আরব থেকে পাঠানো কফিনের বক্সের উপর রুবেলের বাবা-মায়ের নামসহ পূর্ণ ঠিকানা লেখা ছিল। বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা কফিন আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। সেখানে আমরা তো আর বক্স খুলে দেখিনি।”
বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায় লাশটি আসলে কিশোরগঞ্জের মোজাম্মেল হকের। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার জগদল গ্রামের তৈয়েব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের স্বজনরা সকালে লাশ নিতে শার্শায় রুবেলদের বাড়িতে যান।
মোজাম্মেলের ভাইয়ের ছেলে নাহিদ হাসান জিকো বলেন, “সৌদি আরবের হিমঘর থেকেই লাশ বদল হয়ে গেছে বলে চাচার সহকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন। তারাই বলেছেন যে, রুবেলের কফিনে মোজাম্মেলের লাশ এসেছে।”
তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে গত ১৭ জুলাই সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে মারা যান মোজাম্মেল।
মোজাম্মেলের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাগআচড়া সরকারি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এসময় সেটি মোজাম্মেলের বলে শনাক্ত করেন তার শ্যালক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার জগদল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইনামুল হক।
শার্শার কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন, “মোজাম্মেল হকের লাশ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রুবেলের লাশটি দেশে পৌঁছলে সেটা যেন দ্রুত শার্শার বাড়িতে পৌঁছে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।”