দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রবাসীদের বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো ছাড়াও মঙ্গলবার দাতাসংস্থার ঋণ ও অনুদান এসেছে। যার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
বুধবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ একসঙ্গে পেয়েছে বাংলাদেশ। চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এটি তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
এর আগে গত ১৫ জুন গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
দেশে চলতি মাসের ২১ দিনে ১৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের জুন মাসের একই সময়ের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের জুনের প্রথম ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান এসেছে। যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।