ইসরায়েলে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ‘ভারী’ বোমার চালান

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ২ হাজার পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। গতকাল রবিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এ চালান সেখানে গেল।

চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা চালানো শুরু করে। মৃত্যু, ধ্বংস আর ক্ষুধার জনপদে পরিণত হয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চলছে।

ভারী এই বোমা পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে পারে।

এর বিস্ফোরণ ব্যাপক এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সম্ভব। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই বোমা ব্যবহারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে বোমাটি রপ্তানির অনুমোদন দেয়নি।

এদিকে জেরুজালেমে গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই রুবিওর প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর।

মনে করা হচ্ছে, এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা নিয়ন্ত্রণ এবং এর ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তাবটিকেই এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন রুবিও। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের গাজা খালি করার প্রস্তাবটি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতে রুবিও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূল করতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস সামরিক বাহিনী বা সরকারি শক্তি হিসেবে থাকতে পারবে না।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ