শনিবার (৩ মে) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমএসএফ জানায়, হামলায় শহরের শেষ কার্যকর হাসপাতাল ও ফার্মেসি ধ্বংস হয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। খবর আল জাজিরা
সংস্থাটি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে আহ্বান জানিয়েছে, বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন, বেসামরিক নাগরিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করুন।
এ হামলার পেছনে কারা ছিল, বা কেন হাসপাতালটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হলো-তা স্পষ্ট নয়। দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাছের বাজারেও হামলা চালানো হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়ায়।
দক্ষিণ সুদানে প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাশার-এর অনুগত বাহিনীর মধ্যে পুরনো শত্রুতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশেষ করে নুয়ের জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ফ্যাঙ্গাক অঞ্চলে, যা ঐতিহ্যগতভাবে মাশারের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা কূটনৈতিকরা আশঙ্কা করছেন, দেশটি আবারও পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দূতাবাস এক যৌথ বিবৃতিতে সম্প্রতি সতর্ক করেছে, দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি গভীরভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা প্রেসিডেন্ট কিরকে মাশারকে মুক্তি দিয়ে সংলাপে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দক্ষিণ সুদান ২০১৩ সালেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ডিনকা ও নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। যদিও ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তি ও জাতীয় ঐক্য সরকার গঠিত হয়, বর্তমানে পরিস্থিতি আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
২০২৩ সালে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন ইতোমধ্যেই দুইবার পিছিয়েছে, এবং ২০২৬ সালের আগে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই।