কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে সফলতা পেল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী এতদিন ধরে হামলা চালিয়ে আসলেও আলেপ্পোতে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু এবার তারা আসাদ বাহিনীকে হটিয়ে আলেপ্পোর বড় এলাকা দখল করেছে।
তিনটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে। ফলে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং শনিবারের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী আলেপ্পোতে আসা-যাওয়ার সব প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে। আলেপ্পোর আশপাশের এলাকাগুলো থেকে নিরাপদে সেনা প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে। বিদ্রোহীরা এসব এলাকা দ্রুত দখলে নিচ্ছে।
বিদ্রোহীদের ঠেকাতে দামেস্ককে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আসাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র রাশিয়া। দুটি সামরিক সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নতুন সামরিক সরঞ্জাম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়ায় পৌঁছে যাবে।
গত বুধবার থেকে হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আকস্মিক হামলা চালিয়ে সরকারনিয়ন্ত্রিত ছোট শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে। প্রায় এক দশক পর আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের কিছু অংশে পৌঁছে যায়।
২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করা শুরু করে বাশার আল আসাদের সরকার। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এতে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।