স্ত্রী তালাক দেওয়ায় রিজভীকে কোপালেন জামাতা

পিরোজপুরে খোকন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রী মাছুমা বেগম তালাক দেন।এ ঘটনায় খোকন রাগান্বিত হয়ে তার শাশুড়ি হামিদা আক্তার রিজভীকে দা দিয়ে কুপিয়ে যখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার মঠবাড়িয়া উপজেলার গিলাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত হামিদা আক্তার রিজভীকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় মাছুমা বেগম বাদী হয়ে সাবেক স্বামী খোকনকে আসামি করে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। খোকন হাওলাদারকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ আজ রবিবার খোকনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

খোকন উজিরপুর উপজেলার ভাসানচর গ্রামের বাসিন্দা ও মাছুমা বেগম মঠবাড়িয়া উপজেলার গিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

মাছুমার চাচাত ভাই মো. হুমায়ুন কবির জানান, তার চাচাত বোন মাছুমার সঙ্গে খোকনের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর খোকন ব্যবসার সূত্রে মাছুমাকে নিয়ে কেরানিগঞ্জের পুরান ভাড়াইল্লায় বসবাস করতেন।সেখানে খোকন স্ত্রীর নামে জমি কিনে বাড়িও করেছেন। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। গত আগষ্ট মাসে খোকনকে তালাক দিয়ে মাছুমা অন্যত্র বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে গতকাল গিলাবাদ গ্রামে আসেন খোকন। পরে মাগরিবের সময় তিনি তার শাশুড়ি রিজভীর ঘরে গিয়ে দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং খোকনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি খোকনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।