নিজেদের কাজটা যে ভালোভাবেই করেছেন মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত– এই নিয়ে অন্তত প্রশ্ন করা চলে না। ৪৫ রানে নেই দলের টপ অর্ডারের তিনজন। সেখান থেকে ম্যাচটাকে বাংলাদেশের করে নিয়েছেন। গল টেস্টে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম দিনটা যে বাংলাদেশের হয়েছে, সেটা মূলত মুশফিক-শান্ত জুটির কল্যাণে।
দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ২৪৭ রান। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের প্রথম দুই সেঞ্চুরিও এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কাছ থেকেই। শান্ত সেঞ্চুরি করেছেন আগে। পরে শেষ বিকেলের আলোতে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। দিনের শেষ বলটা যখন হলো তখন বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান।
মুশফিক আর শান্ত জুটির কাছ থেকে এরপর আর কী চাইতে পারে বাংলাদেশ। নিজেদের কাজ শেষে দলকে এরইমাঝে দিয়েছেন শক্ত ভিত। তবে মানবজনম তো চাহিদার বাধা মানছে না। গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এই জুটি থেকে অন্তত আর ২০টা রান চাইতেই পারেন ক্রিকেট ভক্তরা। সেটা হলেই যে নতুন দুই ইতিহাস হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
টেস্টে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন মুশফিক আর শান্তর দখলে। সর্বোচ্চটা আছে হাতের নাগালেই। ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকই মুমিনুল হককে নিয়ে করেছিলেন ২৬৬ রান। সেই রেকর্ড ভাঙতে দরকার ২০ রান।
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় জুটিতেও আছে মুশফিকের নাম। ২০১৩ সালে গলে পঞ্চম উইকেটে আশরাফুলের সঙ্গে করেছিলেন ২৬৭ রানের পার্টনারশিপ। সেটা স্পর্শ করতেও দরকার ২০ রান। ২১ রান করলে রেকর্ড এককভাবে নিজেদের দখলে নেবেন মুশফিক ও শান্ত।
দৃষ্টিটা যদি আরও দূরে নিতে চান তবে এই জুটি থেকে চাইতে পারেন আরও ১১৩ রান। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ৩৫৯ রানের। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মহাকাব্যিক সেই পার্টনারশিপ ছিল সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের। গলে সম্ভাবনা আছে তিন রেকর্ডের। বাকি পথটা মুশফিক-শান্ত জুটিই ঠিক করবেন।