মহান আল্লাহ বান্দাদের জন্য জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন। ভালো কাজের জন্যে জান্নাত আর মন্দ কাজের খেসারত হিসেবে জাহান্নাম। এ পৃথিবী হলো মুমিনের জন্য শস্যক্ষেত যার ফল তারা পরকালে পাবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭)
অপর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘যারা ইমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫)। আরও ইরশাদ করেছেন, ‘আর যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২)
অন্যদিকে আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ইমান থাকবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা (অহংকার) থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৮)
তবে দুই শ্রেণির মানুষ আছে যারা জান্নাতে তো যাবেই না, এমনকি তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।
এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন,