ঈদুল আজহায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকের ছুটি আগে হওয়ায় সড়কপথে যানজট এড়াতে আগেই বাড়ি ফিরছেন। তবে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কিছুটা চাপ বাড়লেও ঈদকেন্দ্রিক চাপ এখনো শুরু হয়নি।
পরিবহণ মালিকরা আশা করছেন, আজ যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে এবং বুধবার থেকে আরও বাড়বে।
এদিকে সোমবার রাজধানী ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন ট্রেনেও যাত্রীর বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে এদিন ভিড় সাধারণ দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল।
তবে রেলওয়ে কতৃপক্ষ বলছেন, আজ, ৪ জুন, ৫ জুন ও ৬ জুন ভিড় বাড়বে।
সোমবার সরেজমিন গাবতলী বাসটার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ কাউন্টার ফাঁকা। ছিল না চিরচেনা সেই ভিড়। যাত্রীর চাপ না থাকায় কাউন্টারের লোকজন অলস সময় পার করছেন। আবার যাত্রী না পেয়ে অনেকে কাউন্টার বন্ধ রেখেছেন।
সাকুরা পরিবহণের ম্যানেজার আলম বলেন, যখন পদ্মা সেতু হয়নি, তখন ঈদের এক সপ্তাহ আগে এখানে দাঁড়ানোর জায়গা থাকত না। কথা বলা তো দূরের কথা। এখন রানিং কোনো যাত্রী নেই। সকাল থেকে তিনটি গাড়ি গাবতলী ছেড়েছে। যারা অগ্রিম টিকিট বুকিং দিয়েছে, তারা ৪, ৫ ও ৬ জুন গাবতলী আসবে। এর আগে যাত্রীর ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ঈদযাত্রায় তৃতীয় দিন সোমবার বিভিন্ন ট্রেনে সাধারণ দিনের তুলনায় ভিড় বেশি দেখা গেছে। ঈদের আগে তিনদিন প্রতিটি ট্রেনেই উপচে পড়া ভিড় থাকবে। প্রতি বছরের মতো এবারও বিনা টিকিট রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার ৬টি ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে। কালনী, রংপুর, এগারসন্ধিুর, একতাসহ ৬টি ট্রেন কমলাপুর থেকে বিলম্বে ছেড়ে গেছে।
জানা যায়, গড়ে ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনগুলো ছেড়েছে। বৃষ্টির কারণে ট্রেনগুলো কিছুটা বিলম্বে চলছে। প্রতিদিন ৪৩ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২৬ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। আগামী তিনদিন ভিড় বাড়বে, প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেন কিছুটা ধীরগতিতে চালাতে হয়। এজন্য কিছু ট্রেন বিলম্বে চলাচল করছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু ট্রেন বিলম্বে চলাচল করছে, তবে সেগুলোকে শিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে কিছু ট্রেন ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে।
তিনি জানান, আগামী তিনদিন ভিড় বাড়বে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বিনা টিকিটের যাত্রী রোধ করতে। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও জানান তিনি।