প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পর ইউনিয়ন এলাকার পাশাপাশি এবার সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সেবা দেওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক।
গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয় ব্রিফিংয়ের সময় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশর মধ্যে কয়েকটি সংশোধনের কথা বলেন। তিনি বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যপরিষিধির এলাকা ইউনিয়ন পরিষদের পরিসরের সঙ্গে নতুন করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রশাসনের শেষস্তর ইউনিয়ন এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা ছিল এতদিন। শহর-নগরকেন্দ্রিক বিপুল জনগোষ্ঠী, যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধা নেওয়ার যোগ্য; এতদিন তারা তা নিতে পারেনি।
আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংক যখন শাখা সম্প্রসারণ করেছে, তখন যেখানে পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন ছিল, সেখানে কোনো শাখা খোলেনি। তবে যেসব উপজেলা বা জেলা শহর শাখা খোলা পর পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন হয়েছে, সেখানে কার্যক্রম চলছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি হলে গ্রামীণ ব্যাংক ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয় ব্রিফিংয়ের সময় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পিআইডি
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশোধনের বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংক আগে যখন কাজ করত, তখন একটি মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেই মূল্যবোধ হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “অধ্যাদেশে বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যারা এই ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবে। এই ৯ জনের মধ্যে থেকে আবার ৩ জন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন।”
“এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, পরিশোধিত মূলধন আগে ছিল সরকারের ২৫ শতাংশ এবং সুবিধাভোগীদের ৭৫ শতাংশ। এখন হয়ে গেছে ১০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ,” বলেন তিনি।