জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যেভাবে ঐকমত্যের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তাতে কেয়ামত পর্যন্তও শতভাগ ঐকমত্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয়গুলো গত তিন দিনের মতো আজকেও অমীমাংসিত।’ ঐকমত্য কমিশনের আগেকার আলোচনা শেষ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার বিরতিতে এ কথা বলেন নুর। গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সভা হয়।
ঐকমত্যের সঙ্গে নিজেদের অনেক প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন বলে মন্তব্য করেন নুর। তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে একমত হচ্ছি আমরা। কিন্তু এখানে কিছু কিছু দল একেবারে নিজেদের অবস্থানে অনড়। দুই থেকে তিনটি দল, তাদের পার্টির কনফার্মেশন নিতে হচ্ছে, দল থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, কেয়ামত পর্যন্ত কোনো ঐক্যের সম্ভাবনা দেখি না।’
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘কোনোভাবেই শতভাগ ঐক্যের জায়গা তৈরি হবে না। এ জন্য আমরা বারবার বলেছি- কতটুকু পর্যন্ত আলোচনায় একমত হলে তাকে ঐকমত্য বলবেন, কিংবা কতটি দল একমত থাকলে সেটিকে ঐক্য বলবেন- এটির একটি মাপকাঠি ঐকমত্য কমিশনকে নির্ধারণ করা দরকার। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি, আপনারা এখানে রেফারির ভূমিকায় আছেন, সবার আলাপ-আলোচনা শুনে আপনাদের একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণ-অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। এর আগে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সেদিন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।