মিথ্যা ও বানোয়াট জিডির বিরুদ্ধে থানায় বিএনপি নেতার পাল্টা অভিযোগ

মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করার অভিযোগ এনে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বকশ। তিনি দাবি করেছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়েল ও ব্যক্তিগত আক্রমণ।
বুধবার (১৮ জুন) মৌলভীবাজার মডেল থানায় দাখিল করা লিখিত অভিযোগে মতিন বকশ উল্লেখ করেন, বকশী ইকবাল নামের এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এনে জিডি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মতিন বকশ নাকি জেলার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন এবং প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে হামলা চালাতে পারেন—এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও করা হয়। তবে মতিন বকশ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, “আমি একজন দাওয়াতি সাংবাদিক হিসেবে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিই এবং সেখানে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দিইনি। বরং আমি অতীতে প্রেসক্লাবের জবরদখল ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, যেটা সত্য ও দলিলভিত্তিক।”
মতিন বকশ আরও অভিযোগ করেন, জিডিতে বকশী ইকবাল তার পরিচয়কে গোপন করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি বিএনপির একজন নেতা, কিন্তু উক্ত অনুষ্ঠানে আমি রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম।”
তিনি দাবি করেন, বকশী ইকবাল অতীতে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং তিনি একসময় ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগও তোলেন মতিন বকশ।
মতিন বকশ তাঁর অভিযোগে জোর দাবি করেন, প্রেসক্লাব সকল সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং আওয়ামী দোসরদের দখলদারি আচরণের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে যেকোনো সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযুক্ত বকসি ইকবাল আহমদ বলেন, আমি দোসর ছিলাম কি না এটা কি কাউকে প্রমাণ দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুব বলেন, “মতিন বকশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”