বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় তিন ধাপ পিছিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৬৭তম। ২০২২ সালের কনটেইনার পরিবহনসহ বিভিন্ন সূচকের প্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা, বিশ্বমন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার কারণে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিশ্বের সেরা বন্দরগুলোর তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরের পারফরম্যান্স কিছুটা কম হয়েছে। যেহেতু নতুন নতুন কি-গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে, ইয়ার্ড, টার্মিনাল ও জেটি ফ্যাসিলিটি বেড়েছে, সিটিএমএস, ভিটিএমএসসহ অটোমেশনে সমৃদ্ধ হয়েছে, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের কনটেইনার নিয়মিত আসবে তাই দ্রুত অবস্থান উন্নীত হবে আশাকরি।
সূত্র জানায়, গত ১৭ জুলাই প্রকাশিত ২০২২ সালের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সেরা ১০০ বন্দরের শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। বন্দরটি হ্যান্ডলিং করেছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার কনটেইনার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুর হ্যান্ডলিং করেছে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ কনটেইনার। এর আগের বছরের চেয়ে যা দশমিক ৫ শতাংশ কম। শীর্ষ দশে চীনের বন্দরই আছে ৭টি। সপ্তম অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান। দশম অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের রটারডাম, একাদশ অবস্থানে দুবাই, ১৩তম অবস্থানে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং, ২৭ ও ২৮তম অবস্থানে ভারতের মুন্দ্রা ও জওহরলাল নেহেরু, ৪১তম অবস্থানে জেদ্দা, ৪৪তম অবস্থানে ওমানের সালালা, ৪৭তম অবস্থানে আবুধাবি, ৬৪তম অবস্থানে আছে লন্ডন।
লয়েডস লিস্ট ২০১৩ সাল থেকে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সালে বিশ্বে চট্টগ্রামের অবস্থান ছিল ৮৬তম। ২০১৯ সালের লয়েডস লিস্টে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, ডলার সংকটের কারণে বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোর তুলনায় আমরা তিন ধাপ পিছিয়েছি। ইতিমধ্যে সংকট কেটে গেছে। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। আশাকরি, হারানো গৌরব দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে চট্টগ্রাম বন্দর।