রাজধানীর যে এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ

ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মমতাজ বেগম রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে রাজধানী ও মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার কিছু সময় আগে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মমতাজকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী মমতাজ বেগম একাধিকবার মানিকগঞ্জ ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। গণঅভ্যুত্থানের দুই মাসের বেশি সময় পর একটি ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে ফেরেন মমতাজ।

সাড়ে চার মিনিটের ওই ভিডিওতে একটি কক্ষে বালিশে হেলান দিয়ে হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে গান গাইতে দেখা যায় মমতাজকে। ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে? আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি পরাণ বান্ধিবি কেমনে’-গানটি শোনা যায় মমতাজের কণ্ঠে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা ছাড়াও মমতাজের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর মমতাজ বেগম, দেওয়ান জাহিদ আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। সিঙ্গাইরে প্রায় এক যুগ আগে হরতালের মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলাটি হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে ১০ আক্টোবর মমতাজ বেগম ও ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়।