গাজার ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ট্যাংক, মেশিনগান এবং ড্রোন দিয়ে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া, আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। এছাড়া, দখলদার সেনাদের হামলায় গাজায় সবমিলিয়ে আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের প্রধান পূর্বাঞ্চলীয় সড়কে ত্রাণ সংগ্রহকারী মরিয়া জনতার ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) তিন সপ্তাহ আগে এই অঞ্চলে খাদ্য বিতরণ শুরু করার পর থেকে এটি চলমান হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ ঘটনা।

নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, অনেক আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি ড্রোনগুলো মানুষের ওপর গুলি চালায়। কয়েক মিনিট পর ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো ভিড় লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি শেল নিক্ষেপ করে। যার ফলে বিপুল সংখ্যক শহীদ ও আহত হন।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জনতা আটা পাওয়ার আশায় সেখানে জড়ো হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইসরায়েলি ট্যাংক, ভারী মেশিনগান ও ড্রোন হামলা ত্রাণপ্রার্থীদের ভিড়ের ওপর বৃষ্টির মতো নেমে আসছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৬ মে গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আহত হয়েছেন দুই হাজার জনেরও বেশি মানুষ।

জিএইচএফের ত্রাণের লাইনে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তার ডেপুটি মুখপাত্র নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, মহাসচিব গাজায় খাবার চাইতে আসা বেসামরিক নাগরিকদের জীবনহানি ও আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

ফারহান হক বলেন, এটি অগ্রহণযোগ্য। গতকাল পর্যন্ত  খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং দুই হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

সূত্র : আল-জাজিরা