ক্লাব বিশ্বকাপে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন রিয়ালের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার রাউল অ্যাসেন্সিও। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে পাচুকা। তবে রিয়ালের গোলবারের নেচ দেয়াল হয়ে দাঁড়ান থিবো কোর্তোয়া। পরে আক্রমণে ফিরে ৩ গোল দেয় রিয়াল।
নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে রবিবার রাতের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জেতে রিয়াল। ক্লাবটির হয়ে এটিই কোচ জাবি আলোনসোর প্রথম জয়। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল রিয়াল।
এই জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ওঠার পথে টিকে রইল রিয়াল। ২ ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্প্যানিশ এই ক্লাবটি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে রেড বুল সালসবুর্গ দুইয়ে, ১ পয়েন্ট নিয়ে আল হিলাল তিনে আছে। যদিও এই দুই দল একটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচেই হেরে বিদায় নিশ্চিত পাচুকার। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়।
অ্যাসেন্সিও লাল কার্ড দেখেন ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই। এরপরই আক্রমণের ঢেউ তোলে পাচুকা। তবে কোর্তোয়ার অবিশ্বাস্য সব সেভে সুবিধা করতে পারেনি মেক্সিকান ক্লাবটি। কোর্তোয়ার বীরত্ব দেখা যায় ম্যাচ শেষের পরিসংখ্যানেও। গোলের জন্য মোট ২৫টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পাচুকা। তার ১০টিই সেভ করেন কোর্তোয়া। অন্যদিকে ৩টি শট লক্ষ্যে রেখে ৩টিতেই গোল আদায় করে রিয়াল।
শুরুর চাপ সামলে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে প্রথম গোল পায় রিয়াল। ভিনিসিউস জুনিয়রের পাস ধরে বক্সের ভেতরে ঢুকে দারুণ এক গোল দেন রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। সাত মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তুরস্কের তরুণ মিডফিল্ডার আর্দা গুলের। ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে গন্সালো গার্সিয়া বল দেন গিলেরকে। নিচু শটে বল জালে জড়ান এই তরুণ।
রিয়ালের হয়ে ৭০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন আগের ম্যাচে পেনাল্টি মিস করা ফেদে ভালভের্দে। ৮০তম মিনিটে ব্যবধান কমান এলিয়াস মন্তিয়েল। তবে রিয়ালের জয়ের ক্ষেত্রে সেই গোল কোনো বিপদ হতে পারেনি।