বাগমারার তাহেরপুরে ৮ বছরের পথ শিশু ও বাক প্রতিবন্ধী ” সালমা ” ধর্ষণের প্রতিবাদে মানব বন্ধন 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় ৮ বছর বয়সী এক বাকপ্রতিবন্ধী পথ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
 সোমবার দিবাগত গভীর রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে  গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বাগমারা উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য  রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।  স্বজনরা বলছেন, শিশুটিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শিশুটি দুপুরের পর তার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ১০টা হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় তার বাবা খোঁজ শুরু করেন।
একপর্যায়ে তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে,কলেজ গেটের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এসময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শিশুটি অচেতন ছিল। এরপর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ( রামেক ) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বাক প্রতিবন্ধী শিশুটির  বাবা জানান, শিশুটিকে তারা বাড়িতে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সে কোনভাবেই বাড়িতে থাকতো না। তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াতো। কোনো সময় মানুষের বারান্দায়, বাসস্ট্যান্ড বা সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে পড়ত। পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে তাদের সংসার ভেঙে যায়।
এরপর তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর  তাহেরপুর চকিরপাড়া ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায়  ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন।গত কাল সোমবার সন্ধ্যায় বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে বখাটে সংঘবদ্ধ যুবকরা শিশুটিকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করার পর ধর্ষণ করেছে। তাহেরপুরপুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহাইল জানান,আমি অসুস্থতার কারনে ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর জন্য অবস্থান করছি। তবে আজকের রাতে আমি তাহেরপুরে ফিরবো।
তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দ্বায়িতে থাকা এস আই জাহাঙ্গীর জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে সোমবার গভীর রাতেই বাগমারা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি। এখনো শিশুটির পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাঁদের  খুঁজে বের করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে ধর্ষণের প্রতিবাদে তাহেরপুর পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং জামায়তের  পক্ষ থেকে ধর্ষককে আইনের আওতায় এনে  দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।